দিনাজপুর: হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ৫ম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ফলে গত পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ পণ্য লোড-আনলোড এবং পরিবহনের কাজ। গত কয়েকদিন ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে হিলি স্থলবন্দর এলাকা।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরে সৃষ্ট জটিলতা পাঁচদিনেও সমাধান না হওয়াই সোমবার হিলিতে সকাল-সন্ধা হরতালের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম আজাদ জানান, বাধ্য হয়েই হরতাল দেয়া হয়েছে। গত পাঁচদিনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়াই হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
হিলি আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, আমাদের হরতালের প্রতি স্থানীয় সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে।
বিজিবির হয়রানির প্রতিবাদে রোববারেও বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দরের চারমাথা মোড়ে রাস্তা অবোরধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ট্রাক ও কুলি শ্রমিক সংগঠনসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো।
এদিকে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন্দরের জটিলতা নিরসনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের মেনিফিস্টে বা ট্রাক চালানে বিজিবির সীল মারা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও জয়পুরহাট ৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের অপসারণের দাবিতে গত বুধবার থেকে বন্দরে ধর্মঘট পালন করে আসছে ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।