সিলেট: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নার্সদের ওপর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালে সিলেট নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এ নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশ মানতে নারাজ। তারা কলেজের সামনে বিক্ষোভ করছে।
এদিকে অনিবার্য কারণবশত নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা শিক্ষানবিশ সেবকদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় পলয় কুমার নামের এক শিক্ষানবিশ গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলায় আহত হন আরো ৫ শিক্ষার্থী।
হামলাকারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের শাস্তি দাবিতে সোমবার সকাল থেকে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে হাসপাতালে সেবাদান থেকে বিরত রয়েছেন।
মঙ্গলবার কালোব্যাচ ধারণ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় সকালে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও ৬ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নার্সিং কলেজের সামনে কালোব্যাচ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
অন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মানবেন না। হামলাকারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার ও তাদের বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের আন্দোলনকে দমাতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ কলেজ বন্ধ ঘোষণা ও হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। তারা বলছেন, তাদের তিন জন সহপাঠি শিক্ষার্থী পলয় কুমার, রাজিয়া সুলতানা ও লিনা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের হাসপাতালে রেখে তারা হলত্যাগ করবেন না।
যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলামেইলকে জানান, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নার্সিং কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. তন্ময় ভট্রাচার্য বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দেবে।