কমলনগরে গুলিবিদ্ধ যুবদলকর্মীর ঢাকায় মৃত্যু

SHARE

emargenciপুলিশের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী আরিফ হোসেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
১ মার্চ লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরিফ গুলিবিদ্ধ হন। গত ১০ দিন ধরে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরিফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাই খোকন।
খোকন বলেন, ‘১ মার্চ দুপুর ১টায় কমলনগর থানা পুলিশ আরিফকে আটক করে। রাতে থানায় যোগাযোগ করা হলে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় আরিফকে ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু পরদিন সকালে জানতে পাই, আরিফ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
খোকনের দাবি, আরিফ কোনো রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। তিনি আসবাব নির্মাণের কাজ করতেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহমেদ বলেন, ‘১ মার্চ রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়।’
ঘটনার দিন কমলনগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা জানান, ‘১ মার্চ রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার লরেন্স বেরাগো মোড় এলাকায় গাছ ফেলে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়ক অবরোধ করে যুবদল, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা, ককটেল ও গুলি ছোড়ে অবরোধকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এতে উপজেলার চরকালকিনি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে জামায়াতের কর্মী মাইন উদ্দিন (৩২) ও চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে যুবদলকর্মী আরিফ হোসেন (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটার একটি করাত ও চারটি পেট্রোলবোমা উদ্ধার করা হয়।’