বৃটিশ প্রচারমাধ্যমে তুলোধোনা ইংল্যান্ডকে

SHARE

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে৷ গোটা টুর্নামেন্টেই জঘন্য খেলেছে দল৷ তাই বলে বাংলাদেশের কাছেও হেরে বসবে! না, ভাবতে পারেননি সে দেশের মানুষ৷ প্রচারমাধ্যমও৷ তাই তো ইওন মর্গানের দলের তুলোধোনা করছে বৃটিশ প্রচারমাধ্যম৷

কোথাও লেখা হলো, ‘ইংল্যান্ড এখন বিশ্ব ক্রিকেটে হাসির খোরাক!’ কোথাও আবার লেখা হয়েছে, ‘জঘন্য, বিশ্রী হার’! মর্গানসহ গোটা দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে৷ অভিযোগের আঙুল উঠছে কোচ, দলের সাপোর্টিং স্টাফদের দিকেও৷

জিওফ্রে বয়কট লিখেছেন, ‘দুঃস্বপ্নের দিন৷ দুঃস্বপ্নের রাত৷’

দ্য টেলিগ্রাফে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের প্লেয়ারদের যেমন মনে করা হচ্ছিল, তা মোটেই নয়৷ সব্বাই বলার চেষ্টা করছে, ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি৷ কিন্তু সব সময় এই অজুহাতটা কি খাটে?’

বথামের কথায়, ‘এই ইংল্যান্ড সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ দল৷ এতটা খারাপ, ভুলেও ভাবিনি৷’

‘ডেইলি মেল’-এ লেখা হয়েছে, ‘১৫ রানের হারটাই বলে দিচ্ছে, ইংল্যান্ড আত্মসমর্পণ করেছে৷ এর থেকে লজ্জার হার, লজ্জার বিদায় আর কী হতে পারে! কিন্তু এভাবে যে হারল, তা কিন্তু নতুন নয়৷ হেরেই চলেছে ইংল্যান্ড. যে কারণেই, হাস্যকর দলে পরিণত হয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট৷’

গোটা ব্যাপারটা মানতেই পারছেন না কেভিন পিটারসেন৷ যত অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ দেখেছেন দলের, ততই ছটফট করেছেন মাঠের বাইরে বসে৷ ইচ্ছে করছিল নেমে পড়েন, কিন্তু তা তো সম্ভব হয়নি৷

তাই খেলা শেষের পর কে পি টুইট করে বসলেন, ‘ভাবতে পারছি না৷ বিশ্বাসই হচ্ছে না! এই হার৷’

এমন টুইটের পর কে পি মিনিট কয়েক চুপ ছিলেন৷ তারপর ফের লেখেন, ‘ওয়েল ডান বাংলাদেশ৷ তোমরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছ৷’

পিটারসেন আরও যোগ করেন, ‘এমন বিশ্রী হারের পর, কেউ যেন ভুলেও না বলেন, আমরা একদিনের ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিইনি৷ বিশ্বকাপের আগে টানা ছ মাস একদিনের ক্রিকেট খেলেছি আমরা৷’