কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ

SHARE

taskin9জস বাটলার-ক্রিস ওয়েকসের জুটি কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের স্বপ্নের আকাশে। ৭৫ রানের জুটিতে তারা ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। ইনিংসের ৪৬তম ওভারের পঞ্চম বলে পথের কাঁটা বাটলারকে আউট করে লাল-সবুজের দেশকে ম্যাচ ফেরালেন তরুণ তুর্কি তাসকিন। ৬৫ রান করে বাটলার মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন।

এরপর ওই ওভারের ষষ্ঠ বলে ক্রিস জর্ডানকে রান আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন মাশরাফি। তার সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে যায়।

৪৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৮ রান। ওয়েকস ৩২ ও ক্রিস জর্ডান ১ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় ১৬৩ জো রুটকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়েছেন মাশরাফি। রুট ২৯ রান করেছেন। বাংলাদেশের দেয়া ২৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড।

রুবেলের জোড়া আঘাতের পর এবার বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসালেন তাসকিন আহমেদ। জেমস টেলরকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে  জেমস টেলর ফিরেন ১ রান করে।

ইনিংসের ২৭তম ওভারে বেল ও এউইন মরগানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রুবেল। তার জোড়া আঘাতে কাঁপছে ইংল্যান্ড। ওভারের প্রথমম বলে বিপদজ্জনক হয়ে উঠা ইয়েন বেলকে মুশফিকের ক্যাচ পরিণত করেন রুবেল। চতুর্থ বলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগানও রানের খাতা খোলার আগেই রুবেলের শিকার হন। মরগান ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে। ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি করা বেল ৬৩ রান করেন।

দলীয় ৪৩ রানে মঈন আলীর (১৯) বিদায়ের পর জমে গিয়েছিল ইয়েন বেল ও অ্যালেক্স হেলসের জুটি। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। ২০তম ওভারে হেলসকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন মাশরাফি। হেলস ২৭ রান করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল অ্যান্ডারসনের শিকার হন। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ক্রিস জর্ডাদের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল। তৃতীয় ওভারে তামিম স্লিপে ক্যাচ অনুশীলন করান রুটকে।

শুরুর ধাক্কা বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে সৌম্য-সাকিবের বিদায়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯৪ রানে সৌম্য ক্রিস জর্ডানের বাউন্সারের শিকার হন। ৪ রান পরই সাকিব মঈন আলীর বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন। মাহমুদউল্লাহ- সৌম্যর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ হয়। বড় রানের একটা ভিতও পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে সেটি বাধাগ্রস্ত হলো। সৌম্য ৫২ বলে ৪০ রানের (৫ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেন।  সাকিব করেন ২ রান।

চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। দুই ভায়রা ভাইয়ের ব্যাটে টাইগাররা এগিয়ে যায় বড় রানের পথে। ২৩.৫ ওভারে ১৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির। তিন অংক স্পর্শ করতে তিনি বল খরচ করেন ১৩১টি। দেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডটি বগলদাবা করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।

দলীয় ২৪০ রানে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১৩৮ বলে ১০৩ রান করেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কায়। ৪৯ বলে ২১তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনিও। ৪৮তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্রডের শিকার হন মুশফিক। তার আগে তিনি খেলেন ৭৭ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

শেষদিকে সাব্বিরের ১৪ ও মাশরাফির ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পক্ষে অ্যান্ডারসন-জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।