জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরেছিল পাকিস্তান। এবার আইসিসি সহযোগী দেশ আরব আমিরাতকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মিসবাহ উল হকের দল। বুধবার নেপিয়ারে আমিরাতকে ১২৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। শক্তিশালী বোলিং লাইন নিয়েও আরব আমিরাতকে অলআউট করতে পারেনি পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২১০ রান তুলতে সমর্থ হয় আমিরাত। পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ ম্যাচ সেরা হন।
এক প্রান্তে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়া শাইমন আনোয়ার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। আফ্রিদির শিকার হওয়ার আগে তিনি ৬২ রান করেন। দুই হাফ সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন শাইমন আনোয়ার। চার ম্যাচে ২৭০ রান তুলে শীর্ষে তিনি। সমান ম্যাচে ২৬৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কুমার সাঙ্গাকারা।
শাইমন আনোয়ারের বিদায়ের পর রোহান মোস্তাফা দ্রুত ফিরে যান। তবে শেষদিকে পাকিস্তানের বোলারদের হতাশ করেন আমজাদ জাভেদ ও স্বপ্নীল পাতিল। তারা ৬৮ রানের জুটি গড়েন। ওয়াহাব রিয়াজের করা ইনিংসের শেষ ওভারে অবশ্য দুজনই আউট হয়ে গেছেন। আমজাদ জাভেদ ৪০, স্বপ্নীল পাতিল ৩৬ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ ও সোহাইল খান ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে নাসির জামশেদের উইকেট হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট আহমেদ শেহজাদ ও হারিস সোহাইল ১৬০ রানের জুটি গড়েন। যা পাকিস্তানকে বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। হারিস ৭০ রান করে আউট হন। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন আহমেদ শেহজাদ। তিনি রান আউট হন। ১০৫ বলে ৯৩ রান (৮ চার, ১ ছয়) করেন শেহজাদ।
এরপর মিসবাহ, শোয়েব মাকসুদ, শহীদ আফ্রিদিরা খেলেছেন কয়েকটি ঝড়ো গতির ইনিংস। তাদের ব্যাটে তিনশো পার হয় পাকিস্তানের স্কোর। শোয়েব মাকসুদ ৩১ বলে ৪৫, মিসবাহ ৪৯ বলে ৬৫, উমর আকমল ১৩ বলে ১৯ ও আফ্রিদি ৭ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন। এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন আফ্রিদি। ২৭তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আট হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন তিনি। আরব আমিরাতের মানজুলা গুরুগে ৪টি উইকেট পান।