ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ কিন্ডার গার্টেনের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে পার পেলো লম্পট প্রধান শিক্ষক সহদেব বৈদ্য। এনিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গফুর ও সাধারণ সম্পাদক হানিফ রানাসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বৈঠকে প্রধান শিক্ষক সহদেব বৈদ্য এর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রমাণ মেলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১৫ মার্চ জরিমানার দুই লাখ টাকা পরিশোধের ধার্য্য তারিখ রয়েছে। অভিযুক্ত সহদেব বৈদ্যের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকারনামা আদায় করেছেন বলে উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন। অভিযুক্ত সহদেব্য বৈদ্য এর বাড়ী বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের খন্ডল গ্রামে
এ প্রসঙ্গে সহদেব বৈদ্য জানান, এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গফুর ও হানিফ রানার নেতৃত্বে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা হয়ে গেছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুই লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তবে তা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরশুরাম থানার সেকেন্ড অফিসার জাহেদ হোসেন ঘটনাটি শুনেছেন বলে স্বীকার করে জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।