সজ্জন পুরুষের প্রেমে পড়তে চায় না মেয়েরা: ১২ কারণ

SHARE

love iranছেলেটি বেশ ভালো, পড়াশোনা, স্বভাব– সবেতেই। কিন্তু কোথায় যেন একটা ‘খামতি’ রয়েছে, তাই তো কোনো মেয়েই তাকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নিতে চায় না বা কোনো প্রেমিকাই তার সঙ্গে সম্পর্কে বেশিদিন স্থির থাকে না। সবার চোখেই ওই সিধেসাধা ছেলেটি মায়ের আঁচলে থাকা লক্ষ্মী ছেলে হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন ওয়েবপোর্টাল এবং ম্যাগাজিন থেকে সংগৃহীত তথ্য।

কিন্তু কেন হয় এমন?

১. গায়ে পড়া স্বভাব নেই: গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করা বা গায়ে পড়ে থাকা এদের স্বভাব নয়। শুধু মেয়ে কেন, কারও গায়ে পড়ে আলাপ করাটা এদের না-পসন্দ। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও নিজের মধ্যেই গুটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের পরিচিত মানুষের পরিধি খুবই ছোট আর সেই পরিধিতে মেয়েদের সংখ্যা আরও কম।

২. এরা কাউকে প্রতারিত করতে পারেন না: কোনো মেয়েকে নিজের প্রেমে ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলাকলা জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য, যে ভালো ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন এবং এগুলো বোঝেন না। প্রেমের সপ্ত ছলকলা এদের রপ্তের বাইরেই থেকে যায়।

৩.ভালো ছেলেরা ‘বোরিং’ হয়: ভালো ছেলেরা কোন মুহূর্তে কী কাজ করবে, তা সহজেই ধারণা করা যায়। কিন্তু খারাপ ছেলেদের ক্ষেত্রে এ কথা খাটে না। এই বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের প্রেমিকা হওয়া মেয়েদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের শুধরাতে মেয়েরা ভালোবাসে। ওই ছেলেটিকে নিজের মতো করে তৈরি করাই মেয়েদের মিশন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভালো ছেলের মধ্যে ঠিক ঠাক করার কিছুই নেই। তাই তাদের না-পসন্দ করেন মেয়েরা।

৪. মায়ের কথা মেনে চলে: ভালো ছেলে মায়ের কথা মতো কাজ করে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবে না বা সব সিদ্ধান্তে মাকে শামিল করে তারা। তার প্রেমিক তার পরিবর্তে মায়ের কথা মতো কাজ করছে! এই সত্যটি তারা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাই এই আপাত ভালো ছেলেটিকে তারা mumma’s boy বলে হেয় করতেও ছাড়েন না। এই mumma’s boy-রা তাদের অপছন্দের তালিকায় থাকেন।

৫. ক্যারিয়ার সচেতন: জীবনে অনেক বড় কিছু করতে হবে। এই ভেবে পড়াশোনা এবং কেরিয়ারেই বেশি মনোযোগী হন গুড বয়েরা। কিন্তু মেয়েরা চায় তার প্রেমিক সব ছেড়ে তাদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াক। ভালো ছেলেরা তা করে না বলে মেয়েরাও তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখে।

৬. মিথ্যা বলতে পারে না: প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে গিয়ে অল্প-স্বল্প নির্দোষ মিথ্যা থাকেই। নিজের সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বলা বা নিজেকে হিরো সাজানো এগুলি কোনো সিধেসাধা ছেলের পক্ষে সম্ভব নয়। আর এ সব করতে না-পারলে কোনো মেয়েই আবার তাদের পাত্তা দেবে না।

৭. প্রথমেই সিরিয়াস হয়ে যায়: ‘আলাপের পর প্রথম ডেটিংয়ে এসেই আমার ওপর অধিকার ফলানো!’ নিজের স্বপ্নের মেয়ের খোঁজ পাওয়ার পরই ভালো ছেলেরা তাদের নিয়ে খুব সিরিয়াস এবং পজেসিভ হয়ে পড়ে। তার যত্ন নিতে গিয়ে অনেক সময় ছেলেরা অধিকার ফলাতে শুরু করে। ফলে সম্পর্ক শুরু আগেই সেখানে ফুলস্টপ লাগিয়ে দেয় মেয়েটি।

৮. প্রচণ্ড আবেগী হয়: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। আবার কথায় কথায় আবেগের বন্যায় ভেসে যায়-এমন ছেলেদের থেকে মেয়েরা তফাৎ বজায় রাখেন।

১০. সম্পর্কভীতি কাজ করে: কোনো মেয়ে ওই ভালো ছেলেটির হৃদয়ের কড়া নেড়েছে। তার পরই ছেলেটির মনে ওঠে প্রশ্নের ঝড়। বাড়িতে কেউ জানতে পারলে? কী ভাবে প্রপোজ করব? সে আমার প্রস্তাব স্বীকার করল, কিন্তু বাড়ির চাপে দুই হাত এক করতে পারলাম না, তখন কী হবে, কী ভাবে থাকব তাকে ছেড়ে? এ ধরনের বহু প্রশ্ন তাদের মনে যখন ঝড় তোলা শুরু করে, তখন ছেলেটি ঠিক করে, ‘থাক বাবা, প্রেম করে বা সম্পর্কে জড়িয়ে লাভ নেই।’

১১. ভালো ছেলেরা শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারে না তার প্রেমিকাকে কী বলবে বা কী বলবে না। কিন্তু বিগড়ে যাওয়া ছেলেরা ভালোভাবেই জানে, কী বললে মেয়েটিকে খুশি করা যাবে। আবার মেয়েদের ধারণা, ভালো ছেলেরা ভালো যৌনসঙ্গী হতে পারে না।

১২. চিরকাল ধরে ছেলেরাই মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। তা সে যে কোনো ধরনেরই নিরাপত্তা হোক না-কেন। বিগড়ে যাওয়া বা হিরো সেজে ঘুরে বেড়ানো ছেলেরা মেয়েদের আশ্বস্ত করে যে, তাদের সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখবে। কিন্তু ভালো ছেলেদের সাধারণত দুর্বল মনে করে মেয়েরা, তাই এ ব্যাপারে তাদের ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারে না।

জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। ছেলেরা ভালো এবং খারাপের তালিকায় ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু আদর্শ ছেলেদের উচিত এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা।