লা লিগার পয়েন্ট টেবিল মৌসুম শুরু হতে না হতেই যেন বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মাদ্রিদের দুই দল রিয়াল এবং অ্যাটলেটিকোর মধ্যে এখন চলছে শীর্ষস্থান দখলের তুমুল লড়াই। এই লড়াইয়ে রোববার রাতে নিজেদের নিরঙ্কুশভাবে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল রিয়ালের। কিন্তু এস্পানিওলের মাঠে গিয়ে হোঁচট খেয়ে এলো তারা। হেরে এলো ২-১ গোলের ব্যবধানে।
গত তিনটি ম্যাচে রিয়ালের অবস্থা শোচণীয়। ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু। এরপর আর জয়ের দেখাই মিলছে না। গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ড্র করার পর মাঝ সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মলদোভার অখ্যাত ক্লাব শেরিফের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় নিজেদের মাঠেই।
এরপর সেই হারের ধারাবাহিকতা ধরে থাকলো বার্সেলোনা শহরে গিয়েও। এস্পানিওল বার্সেলোনার ক্লাব। ক্লাবটির হোম ভেন্যু আরসিডিই স্টেডিয়ামে রিয়াল আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও গোল আদায় করতে পারেনি। উল্টো ২ গোল হজম করে পরাজয় বরণ করে আসতে হলো।
কাতালান ক্লাব এস্পানিওলের হয়ে গোল দুটি করেন রাউল ডি টমাস এবং অ্যালেক্স ভিদাল। রিয়ালের হয়ে করিম বেনজেমা একটি গোল করলেও সেটা পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। চলতি মৌসুমে এটাই রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম পরাজয়।
ম্যাচের পর রিয়াল ডিফেন্ডার নাচো বলেন, ‘আমরা লড়াই‘ই করতে পারিনি। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে বসি, যা আমাদের জন্য ম্যাচটাকে কঠিন করে তুলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে অনেক বল পেয়ে যায়। যেটা আমাদের খেলায় ফিরতে দেয়নি। এছাড়া আমাদের ডিফেন্সিভ খেলা নিয়ে আরো অনেক কাজ করতে হবে।‘
শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেললেও ধারার বিপরীতে গোল হজম করে রিয়াল। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে খুব কাছ থেকে ডি থমাস গোল করে বসেন। গোল হজম করার পর সেটা শোধ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখার পরও যখন তারা পারেনি, তখন ৬০ মিনিটে উল্টো আরেকটি গোল হজম করে লজ ব্লাঙ্কোজরা।
এ সময় আলেক্স ভিদাল দারুণ নাটমেগে পরাস্ত করেন রিয়াল ডিফেন্ডার নাচোকে এবং থিবাত কুর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে দেন রিয়ালের জালে। ৭১তম মিনিটে করেম বেনজেমা রিয়ালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেও আর জয় সম্ভব হয়নি। তবে, ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ড একটি গোল করেন। কিন্তু সেটাকে বাতিল করে দেয়া হয় অফসাইডের অজুহাতে।