দৈনন্দিন খাদ্য থেকে শক্তি পাবেন কিভাবে

SHARE

foodঅনেকেই চান এনার্জি। সুঠাম দেহের অধিকারী হতে। চান শক্তিমান হতে। ডাক্তারদের কাছে শারীরিক দুর্বলতায় কি খাবেন জানতে চান।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তার মাল্টি ভিটামিন জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। অনেকে আবার মোটা হবার ভয়ে ভিটামিন খেতে চান না। জানতে চান দৈনন্দিন খাবার দাবারের মাধ্যমে কিভাবে পেতে পারেন প্রয়োজনীয় খাদ্য শক্তি।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে এ জন্য প্রয়োজন হাই এনার্জি ফুড। হাই এনার্জি ফুড নিয়মিত ও পরিমাণমত আহারে আপনিও পেতে পারেন প্রয়োজনীয় দৈহিক ও মানসিক শক্তি। যা আপনার দৈনন্দিন জীবন যাপন ও পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষায় অতি জরুরি।

প্রয়োজনীয় খাদ্য শক্তির জন্য আপনি সবচেয়ে বেশি জোর দেবেন সবজি আহারের প্রতি। বিশেষ করে ডাটা, পাতাকপি, ব্রুকলি ইত্যাদি। বাদাম থেকেও আসে প্রচুর খাদ্যশক্তি। যে কোন ধরনের বাদাম খেতে পারেন। এক্ষেত্রে অ্যালমন্ড, পিনাটস, সয়নাট অন্যতম। যাতে থাকে সবচেয়ে বেশি এনার্জি।

দই বা ইয়োগার্ট থেকেও আসে প্রচুর খাদ্য শক্তি। প্রতিদিন খানিকটা দই খেতে পারেন। ইয়োগার্ট-এর মধ্যে বেশি থাকে ভিটামিন বি-৬ এবং এই ভিটামিনটি শরীরের অন্যান্য খাদ্য উপাদান এনার্জিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। তবে যাদের কোলেস্টেরল সমস্যা আছে এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের মিষ্টি দই খাওয়া উচিত নয়।

ডিম বেশি শক্তি দায়ক একটি খাদ্য। ডিমের অতিরিক্ত প্রোটিন আপনাকে দিতে পারে সারাদিনের এনার্জি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।

শরীরের এনার্জির জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ভিটামিন সি। সবুজ শাক সবজির পাশাপাশি লেবুর সরবত, কমলার জুস আপনার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য শক্তি যোগাতে পারে। মটরসুটি ও ডাল জাতীয় খাদ্য থেকে আসে প্রচুর এনার্জি। এজাতীয় খাবারে আছে অধিক পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। সানফ্লাওয়ার ও পেপের বীজ থেকেও আসতে পারে এনার্জি।

এসব উপাদান দিয়ে তৈরি খাবার যেমন পুষ্টিকর তেমনি শক্তিদায়ক। এছাড়া দেশীয় ফলের মধ্যে পাকা কলা থেকেও আসতে পারে পর্যাপ্ত এনার্জি। তবে মনে রাখতে হবে খাবার থেকে এনার্জি পেতে অতিরিক্ত এসব খাদ্য আহার করা যাবে না।

সব কিছু পরিমাণ মত এবং প্রয়োজন মত খেতে হবে। প্রয়োজনে কোন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।