রাজধানীর মিরপুর থেকে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে কথিত ক্রসফায়ারে একজন মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বাকিরা গণপিটুনিতে মারা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
রবিবার গভীর রাতে মিরপুরের কাজীপাড়া ও টেকনিক্যাল মোড় থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ক্রসফায়ারে নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াদুদ (৩৫)। তিনি মিরপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি। রবিবার সকালে মিপুরের সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নামে একটি বাসে ককটেল হামলা চালানোর সময় হাতেনাতে ওয়াদুদকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে ককটেল হামলা চালিয়েছিল। রাতে ওয়াদুদকে নিয়ে পারভেজ ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। টেকনিক্যাল মোড় কল্যাণপুর হাউজিংয়ের কাছে গেলে ওয়াদুদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ক্রসফায়ারে পরে সহযোগীদের গুলিতেই ওয়াদুদ মারা যায়।
পুলিশের সূত্রটি আরো জানায়, রবিবার রাত দেড়টার দিকে মিরপুরের কাজীপাড়ার বাইশবাড়ি এলাকায় অজ্ঞাত ৩ যুবককে পেট্রলবোমাসহ হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ যুবককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ৩ যবুককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই ৩ যুবকের বুকে, মাথায় একাধিক গুলির চিহ্ন এবং সারা শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে।