তিস্তায় পানি বাড়া-কমা নিয়ে নাটক হয়েছে: ফখরুল

SHARE

fokrul 350লংমার্চ চলাকালে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়াকে নিজেদের প্রাথমিক সাফল্য বললেও পানি কমে যাওয়ায় এখন বিএনপি বলছে এটা ভারতের নীচু মানের নাটক। তারা তামাশা করেছে।

তিস্তায় পানি বাড়ার পর আবার কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেখুন কেমন নাটক করা হলো। আমরা যখন লংমার্চ করছিলাম তখন দেখলাম তিস্তায় তিন হাজার কিউসেক পানি বেড়ে গেছে। আবার যখন লংমার্চ শেষ করে রওনা হলাম তখন শুনলাম পানি কমে গেছে। এটা অত্যন্ত নীচু মনের নাটক। এটা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।”

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন। বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।

প্রসঙ্গত, গত ২২মার্চ তিস্তা অভিমুখে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপির লংমার্চ শুরু হলে ওই দিন বিকেলে হঠাৎ করে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। এসময় লংমার্চে নেতৃত্বদানকারী দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের প্রাথমিক সাফল্য। যদিও ২৩ মার্চ লংমার্চ শেষ হওয়ার পর আবার পানি কমে যায় বলে জানা গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। এজন্য তারা জনগণকে পরোয়া করছে না। তারা শুধু যাদের জোরে ক্ষমতায় এসেছে এবং যারা তাদের ক্ষমতায় রাখছে তারা কী ভাবছে সে চিন্তা করছে ।”

কুইক রেন্টালের মাধ্যমে সরকার কোটি কোটি টাকা লুন্ঠন করছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, “লুণ্ঠন আওয়ামী লীগের পুরানো অভ্যাস। সরকারি দলের লোকজন এই (কুইক রেন্টাল) প্রকল্পের কাজ পেয়ে তারা কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু দেশ এখন অন্য দেশের হাতে চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কেন অন্যদেশের কয়লা দিয়ে বাংলাদেশে কয়লাকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে? কেন করিডোর দেয়া হচ্ছে? এসব বিষয় আমাদের ভেবে দেখতে হবে। ”

সরকারের নানা সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে ইচ্ছা করে না। তবে হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনই ব্যর্থ হয়নি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশীরা এখনো একটু দ্রুত সময়ের মধ্যে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা বলছেন।”

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন।

এতে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান চুন্নু, আফজাল হোসেন সবুজ, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।