হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

SHARE

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান লড়াই যেরকম তীব্র হয়ে উঠেছে তাতে খুব শিগগিরই এই সংঘাত একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ রূপ নিতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজায় মুহূর্মুহূ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। রকেট হামলায় চালিয়ে জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।

শনিবার (১৫ মে) শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে আটটি শিশু ও দুই নারীর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আল জালা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন। সেখানে আল-জাজিরা, এপিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। ইসরায়েলের দাবি, জঙ্গি সংগঠন হামাসের দপ্তর ছিল আল জালা টাওয়ারে।

এ ঘটনার পর আলাদাভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মূলত দু’পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘাত থামাতে তাদের সাথে কথা বলেন বাইডেন। নেতানিয়াহুর সাথে কথোপকথনে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানান বাইডেন। একইসঙ্গে বেসামরিক জনগণ ও সাংবাদিকদের জীবন রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।

এদিকে আল জালা টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসের ওপর হামলা চলতে থাকবে।

ফেসবুক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, “আমি সন্ত্রাসবাদী মাথাগুলোকে বলি, তোমরা লুকিয়ে থাকতে পারবে না। মাটির উপরেও নয় এবং মাটির নিচেও নয়। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সন্ত্রাসের টাওয়ার ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এই টাওয়ারগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদর দপ্তর এবং অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। হামাস নেতাদের ঘরবাড়িও ধ্বংস করে দিচ্ছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে আমরা আঘাত করছি। আমরা কোন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করছি না। যতদিন না আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করছি এবং ইসরায়েলের সকল নাগরিকদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি ততদিন পর্যন্ত এই অপারেশন চলবে।”

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ১০ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মোট ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৯ জনই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৯৫০ জন। অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে নয়জন ইসরায়েলির। এর মধ্যে একজন ভারতীয় নারী ও একজন ইসরায়েলি সেনা সদস্য রয়েছেন।