ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আমতলী গ্রামে বুধবার রাতে স্বামী আলমাস আলী তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে(২৫) উড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
আট মাস আগে শরীয়তপুর জেলার আলমাস আলীর সঙ্গে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার মতিউর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। আলমাস ও রাবেয়া উপজেলার কাশর পাইনিয়র কোম্পানিতে চাকরি করতো। একই কোম্পানিতে চাকরির সূত্রে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর হবিরবাড়ি আমতলী এলাকায় জহিরুলের বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। গত মঙ্গলবার বিকালে চাকরির এ মাসের বেতন পাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
বুধবার রাতে পুনরায় বাসাভাড়া দেয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এরপর রাতের কোনো এক সময় আলমাস তার স্ত্রীকে গলায় উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের দরজার বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিকের স্ত্রী রাকেয়া খাতুন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখে ঘরের দরজা খোলে ভেতরে ঢুকে রাবেয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়।