আইপিএলের টাকায় অক্সিজেন কিনুন: শোয়েব

SHARE

করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত ভারত। একদিকে মরদেহ দাহের স্থান সংকুলান হচ্ছে না দিল্লিতে, অন্যদিকে মহা সমারোহে চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। গত ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে আইপিএলের ২০টি ম্যাচ।

আয়োজকরা এরইমধ্যে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, আইপিএল আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে না। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে বায়ো সিকিউর বাবলের কথা বলেছেন তারা। শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার দিক চিন্তা করে এমন ভাবনা তাদের।

এতেও প্রশ্ন থেকে যায়, দেশে যখন করোনার বিরুদ্ধে স্মরণকালের অন্যতম কঠিন লড়াই চলছে, তখন কোটি কোটি রুপি ব্যয়ে আইপিএল আয়োজন করা কি অধিক জরুরি? এই প্রশ্নটি আরো বড় করে সামনে তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।

তার মতে, ভারতের বর্তমান অবস্থায় আইপিএলের চেয়ে অক্সিজেন ট্যাংক অধিক জরুরি। তাই আইপিএল বন্ধ করে, সেই টাকায় অক্সিজেন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব। কেননা অক্সিজেনেই বাঁচবে মানুষের জীবন। খেলাধুলার আপাতত প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, ভারত এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এখন আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া উচিত কারণ দেশটি পুড়ছে। তাই এটি পিছিয়ে দেওয়াই শ্রেয়। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) পিছিয়ে দেওয়ায় আমি এটা বলছি না। আমি মনে করি, জুনে পিএসএলও হওয়া উচিত নয়।

তিনি আরো বলেন, আইপিএল এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটার পেছনে খরচ করা টাকাগুলো দিয়ে অক্সিজেন ট্যাংক কিনুন। যা কিনে মরতে বসা মানুষগুলোকে বাঁচাতে পারবে। আমাদের এখন ক্রিকেটীয় বিনোদন প্রয়োজন নেই। আমাদের ভারত ও পাকিস্তানে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে।

এসময় নিজ দেশের মানুষদেরও সতর্ক করেন শোয়েব। যেকোনো সময় পাকিস্তানেও মহামারির নতুন ঢেউয়ের ধাক্কা লাগতে পারে বলে অভিমত তার। তাই আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক থেকে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন শোয়েব।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তান এখন ঠিক কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। আর মাত্র ১০ শতাংশ অক্সিজেন বাকি রয়েছে। মানুষজন কোনো নিয়ম মানছে না। তাই আমি সরকারকে বলব, আগামী ১০-১৫ দিনের জন্য কারফিউ জারি করুন। এখন ঈদের কেনা-কাটার কোনো প্রয়োজন নেই। সবাইকে সচেতন হতে এবং নিজের খেয়াল রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের হাসপাতালগুলোতে আর জায়গা না থাকায় করোনা রোগীদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মুম্বাই ও দিল্লির মসজিদ-মন্দিরগুলোতে। অক্সিজেনের অভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেয়ে গেছে ‘ভারতের অক্সিজেন চাই’ শীর্ষক হ্যাশট্যাগে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হৃদয়-বিদারক সব ছবি ও ভিডিও।