করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ১২ বছর বয়স থেকেই ফাইজার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার ফাইজার এবং তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে এ অনুমোদন চাওয়া হয়।
বর্তমানে ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা ফাইজারের টিকা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হন। তবে বয়সের এই মানদণ্ড ১৬ বছরের বদলে ১২ বছর থেকে শুরুর আবেদন জানানো হয়।
ফাইজার-বায়োএনটেক জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে চালানো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের টিকা তরুণদের দেহে শক্ত ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরিতে সফলতা দেখিয়েছেও তাই জরুরি ভিত্তিতে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ব্যবহারের জন্য টিকার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ফাইজারের এই আবেদন অনুমোদন পেলে আসন্ন শরতে স্কুলে ফেরার আগেই টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবে শিশুরা।
ফাইজার-বায়োএনটেকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়; বরং আসন্ন দিনগুলোয় তারা বিশ্বব্যাপী সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একই ধরনের অনুমোদন চাইবে।
ফাইজারের চালানো পরীক্ষায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ২৬০ রোগী। এর মধ্যে টিকা সদৃশ ভ্যাকসিন নেওয়া গ্রুপের ১৮ জনের করোনা হলেও টিকা নেওয়া কেউই আক্রান্ত হয়নি। ফাইজার বলছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এই বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিনটি শতভাগ কার্যকর। এ ছাড়া অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের মধ্যে টিকার যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিশুদের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি সহনীয়।
ফাইজার সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য আমাদের টিকা অনুমোদন পাওয়ার গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারছি। আর ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর চালানো পরীক্ষারফল থেকে আমরা উৎসাহ পাচ্ছি।’
ফাইজার জানিয়েছে, এর আগে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ওপর চালানো পরীক্ষায় টিকা নেওয়ার পর যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ আরও বেশি।