তামিমের নতুন মাইলফলক, পঞ্চাশের ৫০

SHARE

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেটা ছিল তার ৩২তম জন্মদিনে। কিন্তু সেদিন কিছু করে জন্মদিনটা রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজে ব্যর্থ হওয়ার পর দলও ব্যর্থ হয়েছিল; হারতে হয়েছিল আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।

তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঠিকই নতুন এক মাইলফলক ছুঁলেন তামিম। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে ভালো শুরু।

শুরুতেই লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদের আভাস পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সৌম্যকে নিয়ে গড়েন ৮১ রানের জুটি। ৩২ রানে সৌম্য ফিরে গেলেও কোনো ভুল করেননি তামিম। মিচেল স্যান্টনারের ফুল লেংথের একটি বলকে লং অনে ঠেলে দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে নিজের ৫০তম ফিফটি তুলে নেন তামিম।

৮৪ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে এটি তার তৃতীয় ফিফটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ষষ্ঠ ফিফটি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি পঞ্চম ফিফটি তামিমের।

৫০টি ফিফটির পাশাপাশি ওয়ানডেতে ১৩টি সেঞ্চুরিও আছে তামিমের।

ফিফটির হিসেবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্য দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডের ফিফটি ৪৮টি। তৃতীয় স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম, তার ফিফটি ৩৯টি।

তামিম অবশ্য এই মাইলফলক অর্জনের পথে পেয়েছেন ভাগ্যের সামান্য ছোঁয়াও। পঞ্চম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বোলিংয়ে কিপার টম ল্যাথাম ক্যাচ ধরলে তাকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন তামিম, সেখানে দেখা যায়, ব্যাটে নয়, বল লেগেছিল তামিমের ঊরুতে।

এরপর তামিমের একটি স্ট্রেইট ড্রাইভ থেকে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নিয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পেইসার কাইল জেমিসন। কিন্তু সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠানো হলে দেখা যায়, ক্যাচ ধরার পর শরীরের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে বল মাটিতে ছুঁইয়ে ফেলেছেন জেমিসন। সে যাত্রায় তামিম যখন বেঁচে যান, তার রান তখন ৩৪। এরপর তামিম নিয়েছেন সেটির পুরো ফায়দা; তুলে নিয়েছেন ফিফটি।

সেই ফিফটিকে অবশ্য সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি তামিম। জিমি নিশামের বলে কঠিন একটি সিঙ্গেল নিতে যান তিনি, দ্রুত দৌড়ে এসে পা দিয়ে বল স্টাম্পে লাগান নিশাম। ততক্ষণে ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, তাতে তাকে ফিরতে হয় ৭৮ রান করে।

তামিম ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে উইকেটে আছেন মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ১৩৫।