সাংসদ জেবুন্নেসার শটগানের গুলিতে মামাতো ভাই আহত

SHARE

zebunnesaবরিশাল সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেসা আফরোজের লাইসেন্স করা শটগানের গুলিতে তার মামাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান আহত হয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে নগরের আলেকান্দা এলাকায় সাংসদের বাসভবনে ওই ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে সাংসদ জেবুন্নেসা আফরোজের ভাষ্য, বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা থাকা লাইসেন্স করা শটগানটির লাইসেন্স নবায়নে গত সোমবার বাসায় আনা হয়। শটগানটি পরিষ্কার করার জন্য বন্দুকের দোকানের মালিক রেজাউল ইসলাম ওরফে শাকুকে বাসায় ডাকা হয়। রেজাউল সেটি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় অসতর্কতাবশত একটি গুলি বের হয়ে যায়। গুলিটি গিয়ে কক্ষের দেয়ালে লাগে। সেখান থেকে কয়েকটি স্প্লিন্টার বড় ভাই সাইদুর রহমানের গায়ে লাগে। এতে তিনি সামান্য আহত হন। গুরুতর না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

পুলিশ ও সাংসদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত সাবেক মেয়র, সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের লাইসেন্স করা একটি শটগান ও পিস্তল কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা দেন তার স্ত্রী বর্তমান সাংসদ জেবুন্নেসা আফরোজ। পরবর্তী সময়ে ওই আগ্নেয়াস্ত্র দুটি নিজের নামে লাইসেন্স করিয়ে নেন তিনি। নিজের নামে লাইসেন্স পাওয়ার পর গত সোমবার জেবুন্নেসা আফরোজ নিজে থানা থেকে শটগানটি বাসায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে বন্দুকের দোকানের মালিক রেজাউল ইসলামের দাবি, ‘আমার নিজের দোকানের ও বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। এ ছাড়া আমি বন্দুক মেরামতও করি। সোমবার দুপুরে সাংসদের বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত শটগানটি পরিষ্কার করার জন্য হাতে নিই। এ সময় অসাবধানতাবশত ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বেরিয়ে যায়। গুলিটি সরাসরি দেয়ালে গিয়ে লাগে। সেখান থেকে স্প্লিন্টার এসে পাশে থাকা সাংসদের মামাতো ভাইয়ের গায়ে লাগে।’

যোগাযোগ করা হলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত সোমবার সাংসদ জেবুন্নেসা নিজে থানা থেকে অস্ত্রটি নেন। তিনি তার নামে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সেটি নিয়ে গেছেন। তবে তার বাড়িতে কোনো ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেছে- এমন তথ্য জানা নেই। কেউ এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।