ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, অবরোধ-হরতালে নাশকতার কারণে যে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উন্নতি হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির তথ্যকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের পুরস্কার দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুরস্কার পাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা।
ডিএমপির পক্ষ থেকে দেওয়া এই পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান, এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ও রিকশাচালক মোজাম্মেল হোসেন।
ডিএমপির দেওয়া পুরস্কারের বাইরে এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে রিকশাচালক মোজাম্মেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার দাবি করেন, ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ ও হরতালে যে নাশকতা চালানো হয়েছিল, তা আগের চেয়ে কমে এসেছে।
আছাদুজ্জামান জানান, অবরোধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন ভাঙচুর ও ১৬৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুজন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।
ডিএমপির কমিশনারের ভাষ্য, রাজধানীতে ককটেল-পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ১৮৬ জন। এর মধ্যে ১০২ জন বিএনপির ও ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষ্য, অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।