ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট বিভাগ যে আদেশ দেয় তা আপিল বিভাগেও বহাল রয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।
আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আজ এ আদেশ দেন।
ফলে প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রথম আলোর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
মামলাটি বাতিল চেয়ে প্রথম আলো সম্পাদকের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মামলাটির কার্যক্রম প্রথম আলোর সম্পাদকের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল প্রশ্নে রুলও জারি করেছে আদালত।
হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ চেম্বার কোর্টে শুনানির জন্য তোলা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ১০ ডিসেম্বর ও ১৩ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে আদেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগ।
নাইমুলের মৃত্যুর ঘটনায় আনা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেদিন মাঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রেসিডেনসিয়ালের ছাত্র নাইমুল। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলো সম্পাদক, কিশোর আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
১২ নভেম্বর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আদেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- মতিউর রহমান, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পুরান তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হওলাদার। আসামিদের সবাই জামিনে রয়েছেন। এই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন মতিউর রহমান।