‘ক্রসফায়ারে দেশকে বধ্যভুমি বানিয়েছে অবৈধ সরকার’

SHARE

salahuddin8বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হুকুমে দলবাজ র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কিছু সেবাদাস কর্তা-ব্যক্তিরা আন্দোলনরত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন কায়দায় ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করে সমগ্র দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। দেশ আজ ভয়ঙ্কর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। জাতিকে সেই পুলিশি রিমান্ড থেকে মুক্ত করতে অবিরাম সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই।”

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহ উদ্দিন বলেন, “৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করে আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ভুল করেছে। সেই ভুলের খেসারত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদেরকেই দিতে হবে। সেই দায় জনগণ নেবে না। বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলো সেই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনের সকল দরজা বন্ধ করে দিয়ে সরকারই জনগণকে বাধ্য করেছে রাজপথে অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত হতে।   খালেদা জিয়াকে অঘোষিত কারাগারে রুদ্ধ করে সরকারের গদি রক্ষার স্বপ্ন কোনোদিনই পূরণ হবে না। গণআন্দোলনের বিজয় হবে।

তিনি বলেন, “গাইবান্ধার তুলশীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ”

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “২০ দলীয় জোট বরারবই বলে আসছে যে, এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা আদৌ জড়িত নয়। বরং জোটের গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকারই এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো চাপাচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে তা প্রচার ও প্রকাশে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।”

তিনি বলেন, “হাসিনাপুত্র জয় অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে মুজিববংশীয় রক্তের প্রতিধ্বনি করেছেন। রাজনীতির পাঠশালায় বাল্যশিক্ষা শ্রেণী অতিক্রম না করার আগেই ভাষণ দেয়া শুভ লক্ষণ নয়। জয় সাহেবের মাতার পিতা মুজিবের রক্ষীবাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞে পুরো বাংলাদেশকে বধ্যভুমিতে পরিণত করেছিল।

তিনি বলেন, “পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে রাজনৈতিক সমস্যা জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেই সংশোধনী বাতিল করে সমস্যার সমাধান তাকেই করতে হবে।”

সালাহ উদ্দিন বলেন, “গণআন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার অতিমাত্রায় ভীত হয়ে গুম, খুন, অপহরণ, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা এবং গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে শেষ রক্ষা পেতে চায়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয়-জনতার ন্যায্য আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে যুগে যুগে দেশে দেশে। এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ”