জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জোবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় রবিবার দেয়া হবে। দীর্ঘ তিন বছর পর এ রায় দেয়া হচ্ছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারির দিন ধার্য করেন।
২৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার ৪ ফেব্রুয়ারির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারি হরতাল ও অবরোধের কারণে আসামীদের কাশিমপুর কারাগার থেকে হাজির করতে না পারায় রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও ২৮ জানুয়ারি আসামীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তাসলিমা ইয়াছমিন দিপা এবং আসামীপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও অ্যাডেভোকেট জামান উদ্দিন আহম্মেদ।
২৮ জানুয়ারি জামিনে থাকা সাত আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান আদালত। আসামীরা হলেন- মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কু-ু অভি, মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সোহাগ।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে জোবায়ের আহমেদকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। পরের দিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জোবায়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন আশুলিয়া থানায় ১৩ জনকে আসামী করে মামলা করে। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।