মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেছেন, “বিচার বিভাগের ওপর সরকারের আস্থা নেই। সারাদেশে সহিংসতা চলছে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন। সরকার সঙ্কট নিরসনে পদক্ষেপের নামে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিদিন ট্রাকের নিচে চাপা দিয়ে, কথিত বন্দুক যুদ্ধসহ নানা পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষ হত্যা করছে।”
শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খুশি কবির বলেন, “তারা সহিংসতা সৃষ্টিকারী। যদি তারা সত্যিই নাশকতায় অভিযুক্ত হন, তবে সরকারের উচিত তাদের দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিচারের ব্যবস্থা করা। বিচার বহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করছে বিচার বিভাগের ওপর তাদের আস্থা নেই।”
খুশি কবির বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের নানা কর্মসূচি থাকবে। তবে এ কর্মসূচির নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা, নাশকতা করে জনজীবন বিপর্যস্ত করা ঠিক নয়। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত। এ ধরনের কর্মসূচির ক্ষেত্রে যারা নির্দেশনা দিচ্ছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।”
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা নূরী বলেন, “গত এক মাসে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষ পেট্রোল বোমার শিকার হয়েছেন। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের, ৮১ জন বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এদের কয়েকজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে সহিংসতা নিরসনে সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে হত্যা ও ধংসের অপরাজনীতি বন্ধ করে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ততের ক্ষতিপূরণ দেয়া, সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।
‘সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনতা’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, পারভেজ আলম, মাহফুজা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহানারা নূরী।