সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল আওয়ামী যুবলীগ। ঘোষণা করা হলো ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসার কারণে ২০১৯ সালের ২৩শে নভেম্বর দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির বড়ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ এবং মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এবার যুবলীগ করার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ করে দেয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকতে পারছেন না আগের কমিটির বেশিরভাগ সদস্য। তবে সাবেক ছাত্রনেতা এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়েই নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে, বিতর্কিতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে যাচাইবাছাই করা হযেছে জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
যুবলীগের কমিটিতে ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছেন— অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ অন্যরা।
কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন— বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার।
সংগঠনের ৯ সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন— কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির।
এছাড়া ২১ জনকে বিভিন্ন দফতরের সম্পাদক ও ২১ জনকে দফতরগুলোতে উপসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সহসম্পাদকের পদ, ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য।