চিফ হুইপের বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন

SHARE

abul-kalam-ajad_0আবাসন বিষয়ক একটি সেমিনারে অংশ নিতে এমপি ইমরান আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ দিনের সফরে বিদেশে অবস্থান করছেন সরকার দলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। এর আগে ৩রা মার্চ তিনি আমেরিকার কলম্বিয়ায় যান। ফেরেন ১৯শে মার্চ। দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যে চিফ হুইপের এ সফর নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একই ভাবে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলা নির্বাচনের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় পাঁচবার সরকারি সফর নিয়ে।

এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে দীর্ঘদিন তিনি অনুপস্থিত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার ওপর ক্ষুব্ধ। তার কারণে সংসদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সংসদ অধিবেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রীকে আলাপ করতে হয়েছে সচিবালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তার সঙ্গে। চিফ হুইপ থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব আলোচনা করে ঠিক করতেন তিনি। সদ্য নিয়োগ পাওয়া অন্য হুইপরাও এ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ন।

এদিকে এবারের দশম সংসদে যারা হুইপ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের সবাই নতুন। সংসদ পরিচালনায় তাদের পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই। একমাত্র চিফ হুইপ অভিজ্ঞ। কারণ, নবম সংসদে তিনি হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আবাসন বিষয়ের ওপর সেমিনারে অংশ নিতে সাধারণত চিফ হুইপ পর্যায়ের কোন এমপি যান না। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। তারা আরও জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে একাধিক প্রকল্প নেয়া হয়। তবে এসব প্রকল্পে সংসদের পক্ষ থেকে যারা যান তাতে দৃশ্যমান কোন ফলাফল পাওয়া যায় না। তবে এসব প্রকল্পে খরচ হয় অবিশ্বাস্য অঙ্কের টাকা। বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের কোন দেশের যাওয়ার প্রকল্প এলেই এমপিরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে।

এদিকে ২৯শে জানুয়ারি থেকে সংসদ অধিবেশন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত এমপিদের বাসা ও অফিস বরাদ্দ শেষ হয়নি। মূলত চিফ হুইপের অনুপস্থিতির কারণে এ অবস্থা। সাধারণত অফিস ও বাসা বরাদ্দের ক্ষমতাটি চিফ হুইপের ওপর ন্যস্ত থাকে। তাই অন্য হুইপরা এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, আমরা নতুন হুইপ। তাই উনার অনুপস্থিতিতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তিনি অভিজ্ঞ হুইপ। থাকলে আমাদের জন্য ভাল হতো।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে সংসদের কোন চিফ হুইপ এত অল্প সময়ে এতবার সরকারি সফরে নির্বাচনী এলাকায় যাননি।