মিরসরাইয়ে চলছে গণ গ্রেফতার

SHARE

mirshorai5‘আমার স্বামী নওশা মিয়া ইট ভাটা কাজ শেষে বাজারে আসে চাল কিনতে। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেও স্বামী ঘরে না ফেরায় খোঁজ করতে থাকি। পরে খবর পাই মিরসরাই থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে এসেছে। আমার স্বামীর কোনো দোষ নেই। তিনি ইটভাটায় দিন মজুরি কাজ করেন’- কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নওশা মিয়া ইটভাটার শ্রমিক আবু তাহেরের স্ত্রী বিবি ফাতেমা।

উপজেলার জামালের দোকান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আবু তাহেরকে আটক করে মিরসরাই থানা পুলিশ। হাইতকান্দি ইউনিয়নে মহালংকা জগদ্বিশপুর গ্রামে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়। শুধু আবু তাহের নয়; এ সময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরো ২৩ জনকে আটক করে মিরসরাই থানা পুলিশ।

বুধবার মিরসরাই থানায় গিয়ে দেখা যায়, জেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। থানার সামনে যেন মেলা বসেছে। আটককৃতদের আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে থানার গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

জানা গেছে, যাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অনেকে দিন মজুর। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার গিয়ে তদবির করে কয়েকজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলেও নিরীহ ব্যক্তিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিরীহ আবু তাহেরের স্ত্রী বিবি ফাতেমা আরো জানান, তার স্বামী নিরপরাধ। তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। ইটভাটায় কাজ করেন। প্রতিবশির কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দেখতে থানায় এসেছেন। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন তাকে না খেয়ে থাকতে হবে।

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী জানান, পুলিশ কিছু লোককে আটক করেছে। তবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনতে তিনি সুপারিশ করেছেন।

মিরসরাই থানার ডিউটি অফিসার এএসআই যশমন্ত মজুমদার বলেন, “হাইতকান্দিতে যুবলীগ-কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৩ জনকে আটক করে চট্টগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”