ক্ষুব্ধ হয়ে গার্লফ্রেন্ডের কান কামড়ে খানিকটা অংশ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন ৫১ বছর বয়সী মাইকেল ট্রুডো। এ ঘটনার তিন সপ্তাহ আগে তিনি পৃথক এক ঘটনায় তার গার্লফ্রেন্ডের প্রিয় পোষ্য বিড়ালটিকে পুড়িয়ে মারার পর কাঁচির সাহায্যে তার মু-ুপাত ঘটান। আর এহেন পাগলামির মাশুল গুণতে ট্রুডো এখন রয়েছেন শ্রীঘরে। তাকে গ্রেপ্তারের পর ১০ লাখ ডলার জামিন ধার্য করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিড-ডে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ট্রুডো তার ৪২ বছর বয়সী গার্লফ্রেন্ডের কান কামড়ে দেন। ঘরোয়া হয়রানির অভিযোগে পুলিশ একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে গিয়ে আতঙ্কে জড়সড় হয়ে ঘরের এক কোনায় বসে থাকা গার্লফ্রেন্ডকে উদ্ধার করেন। তার শরীর ছিল রক্তে ভেজা। কান দিয়ে তখনও ঝরছিল রক্ত। তিনি জানান, গত ২ বছর ধরে তার সঙ্গে সম্পর্ক ট্রুডোর। ভদকা (জনপ্রিয় রুশ অ্যালকোহল) পানের সময় নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে তারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় তাদের মধ্যে। পুলিশ জানায়, ট্রুডো তার গার্লফ্রেন্ডের গলা টিপে ক্ষণিকের জন্য শ্বাসরোধ করেছিলেন, সজোরে মেঝের সঙ্গে তার মাথা ঠুঁকে দেন এবং জোর করে গলার মধ্যে একটি ছাতা ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। ট্রুডো তার গার্লফ্রেন্ডকে বলেছিলেন তিনি নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য। ট্রুডো তাকে বলেন, শত্রুকে হত্যার জন্য আমি প্রশিক্ষিত। তুমি আমার শত্রু। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে ট্রুডোর আঙুলে কামড়ে দেন তার গার্লফ্রেন্ড। ট্রুডো গার্লফ্রেন্ডের কান সজোরে কামড়ে একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের পক্ষে কানের বিচ্ছিন্ন অংশ জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। গ্রেপ্তারের সময় ট্রুডো মাথার ওপর তার হাত রাখতেও রাজি হননি। পুলিশ কর্মকর্তাদের ট্রুডো বলেন, তিনি চান তারা তাকে গুলি করে হত্যা করুক। হামলা, সন্ত্রাসী হুমকি ও পশুর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১২ সালে স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ২ বছর জেল দেয়া হয়েছিল ট্রুডোকে। ২০০৬ সালে একটি কুকুরের বাচ্চাকে মেরে ফেলার অভিযোগ তার স্ত্রীকেও ৩০ দিনের কারাদ- দেয়া হয়েছিল।