ইস্তাম্বুলের আরেকটি চার্চ মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ এরদোয়ানের

SHARE

দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের পর এবার ইস্তাম্বুলে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের একটি চার্চকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। চার্চটি বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের ঠিক এক মাস পর কারিয়ে মিউজিয়াম নামে পরিচিত চার্চটি মসজিদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্তটি এলো। শুক্রবার (২১ আগস্ট) এ ব্যাপারে তুরস্ক সরকারি একটি গেজেট জারি করেছে।

হাজার বছরের পুরনো পুরাকীর্তির দিক থেকে এই জাদুঘর ভবনটির অবস্থান আয়া সোফিয়ার পরেই। এটি ইউরোপঘেঁষা ইস্তাম্বুলের ‘গোল্ডেন হর্ন’ এলাকার প্রাচীনতম নিদর্শন।

ইস্তাম্বুলে খোরা এলাকায় এটি বাইজেন্টাইনরা চার্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। চতুর্দশ শতকের অসাধারণ সব দেয়ালচিত্র দিয়ে ভবনটির ভেতরের দেয়াল সুসজ্জিত।

পরবর্তী সময়ে অটোমানরা ১৪৫৩ সালে কনস্টানটিনোপোল তথা বর্তমান ইস্তাম্বুল দখল করে নিলে গির্জাটি মসজিদে পরিণত করা হয়, নাম হয় কারিয়ে মসজিদ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক ধর্মনিরপেক্ষতার পথে হাঁটলে কারিয়ে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।

আমেরিকার একদল শিল্প ইতিহাসবিদের সহায়তায় ভবনটির চার্চ আমলে তৈরি মোজাইকের কারুকাজগুলো উদ্ধার করা হয়। সংস্কারকাজ শেষে ১৯৫৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এর আগে গত মাসে আদালতের রায়ে ইস্তাম্বুল শহরের খ্যাতনামা আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। ১৫০০ বছরের পুরনো স্থাপনা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত আয়া সোফিয়া একসময় খ্রিস্টান ক্যাথেড্রাল ছিল। ওই ঘটনার এক মাসের মধ্যে আয়া সোফিয়ার মতোই ঐহিত্যপূর্ণ ইস্তাম্বুল শহরের জনপ্রিয় কারিয়ে মিউজিয়ামকেও মসজিদে পরিণত করা হচ্ছে।

সূত্র : আলজাজিরা।