করোনা নেই, মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নিল বেইজিং

SHARE

করোনা পরিস্থিতি সামলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে চীন। কয়েক দিন আগেই করোনাকে তোয়াক্কা না করেই উহানে পুল পার্টিতে মেতেছিল হাজার হাজার মানুষ। এবার রাজধানী শহর বেজিংয়েও করোনা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল সে দেশের প্রশাসন। এত দিন বাইরে বেরোলে মাস্ক পরার যে বাধ্য়বাধকতা ছিল, সেই নির্দেশিকা তুলে নিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য় কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ দিনে বেইজিংয়ে নতুন করে আর সংক্রমণ ছড়ায়নি। সে কারণেই বাইরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হলো।

তবে কর্তৃপক্ষ বিধি-নিষেধ শিথিল করলেও মানুষের মন থেকে করোনা আতঙ্ক কাটছে না। সে কারণে শুক্রবারও বেইজিংয়ের রাস্তায় মাস্ক পরেই বেরোল বিপুলসংখ্যক মানুষ।

কেউ কেউ বলল, মাস্ক পরাটা নিরাপদ। আবার কারো মতে, মাস্ক পরার জন্য় পারিপার্শ্বিক চাপটাও একটা ফ্য়াক্টর। মাস্ক পরেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বেইজিংয়ের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী বললেন, ‘আমার মনে হয়, যেকোনো সময় মাস্কটা খুলতে পারি। কিন্তু অন্য়রা সেটা ভালোভাবে নেবেন কি না দেখতে চাই। কারণ আমার মনে হয়, লোকেরা ভয় পাবে যদি আমি মাস্ক না পরি।’

বেইজিং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্ক পরার নির্দেশিকা প্রত্য়াহার করল। এর আগে, এপ্রিলের শেষের দিকে বেজিংয়ের মিউনিসিপ্য়াল সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানিয়েছিল, বাইরে মাস্ক ছাড়াই বেরোতে পারবে বাসিন্দারা। যদিও পরে জুন মাসে ফের সংক্রমণের জেরে আবারও মাস্ক পরার নির্দেশিকা জারি করা হয়।

সাফল্যের সঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের পর গত পাঁচ দিনে চীনের মূল ভূখণ্ডের কোথাও নতুনভাবে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো, বাসিন্দাদের মাস্ক পরানো, বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিন এবং গণপরীক্ষা করা।

প্রসংগত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনেই প্রথম ছড়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামুদ্রিক বাজার থেকেই প্রথম করোনা ছড়ায় বলে মনে করা হয়। পরবর্তী সময়ে এটি বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়লেও চীনের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র : রয়টার্স।