খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন

SHARE

karjaloyসাড়ে ১৯ ঘণ্টা পর খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে। শনিবার রাত সোয়া ১০টার  দিকে বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপন করা হয়।ডেসকোর যেসব মাঠপর্যায়ের কর্মীরা লাইন কেটে দিয়েছেন তারাই আবার সংযোগ দিয়ে যান।

শুক্রবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। শনিবার সারাদিন এই বিষয়টি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর একে একে খালেদার অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ডিশ সংযোগ এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর রাতে খালেদা জিয়া এক ঘণ্টা অন্ধকারে কাটান। সকালে জেনারেটর চালু করা হয়।

শনিবার বিকালের দিকে গুলশান অফিস হয়ে ওঠে গ্রেফতারের ফাঁদ। দলীয় নেতাকর্মীদের যারাই গিয়েছেন, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাত ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ছয় সদস্য।

রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।

কেন সরকার খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল, কেনইবা আবার সংযোগ দেয়া হলো সে সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খোলেননি। তবে শুক্রবার এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা ও নৌপরিবহণ মন্ত্রী মো: শাজাহান বলেছিলেন, হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার না করা হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। শনিবারও বাগেরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকার নয়, শ্রমিকরাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার পাঠানো হলে তা শ্রমিকরা কেড়ে নেবে।