র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সোলাইমান উদ্দিন জিসানের লাশ ৭দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর টিক্কারচর এলাকা থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে জিসানের গ্রামে বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর এলাকায় দুপুর ২টায় জানাজা শেষে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামমতি করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাও.সামছুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীসহ হাজারও স্থানীয় এলাকাবাসী। জিসানের লাশ দাফনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন ছিল। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, সোলাইমান উদ্দিন জিসান পুলিশের তালিকাভূক্ত র্শীষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর, চন্দ্রগঞ্জ, নোয়াখালীর সুধারাম, বেগমগঞ্জ ও চাটখিল থানাসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ৪৪টি মামলা রয়েছে। জিসানের পরিবার দাবি করেছে, গত ২৩ শে জানুয়ারি ভোররাতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে র্যাব গুলি করে জিসানকে হত্যা করে। পরে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাজায়। পরে তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ বেওয়ারিশ লাশ শনাক্ত করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কুমিল্লার টিক্কারচর এলাকায় দাফন করে। জিসানের মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ওইদিন জিসানের লাশের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে গেলে পুলিশ তাকে লাশ দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে গত রোববার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে জিসানের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ছেলের লাশ পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করেন। নিহত জিসান বেওয়ারিশ নয়, জিসানের মার এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যজিস্ট্রেট শামীম আহম্মেদের উপস্থিতিতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কুমিল্লা জেলা শাখার সার্বিক সহায়তায় নগরীর টিক্কারচর কবরস্থান থেকে এলাকা থেকে জিসানের লাশ উত্তোলন করা হয়।