‘কারো মধ্যেই গণতন্ত্র নেই’

SHARE

shohidul alamদেশে আজ ২৪ দিনের মতো টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিরোধী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ফাঁকে ফাঁকে চলছে হরতালের মতো কর্মসূচিও। এসব কর্মসূচিতে ঢাকায় কিছুটা কম প্রভাব লক্ষ্য করা গেলেও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল এবং পণ্য পরিবহণ কার্যত অচল হয়ে রয়েছে।

এছাড়া সহিংসতা ও নাশকতায় বহু মানুষের প্রাণহানিও ঘটছে। চলমান এই সহিংসতা নিয়ে বিবিসি গত কয়েকদিন ধরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছে, জানতে চাইছে, তাদের পেশাজীবনে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কি প্রভাব পড়ছে।

এর ধারাবাহিকতা বিবিসির স্টুডিওতে এসেছিলেন গ্যালারি দৃকের কর্ণধার এবং আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ স্কুল পাঠশালার প্রধান, খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।
তার সঙ্গে কথা বলেছেন আফরোজা সোমা।

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে অনেক দিনের সঙ্কট বলে উল্লেখ করে এ বিষয়টি বোঝা দরকার বলে মন্তব্য করেন শহিদুল আলম।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে মুক্তি দেয়া কিংবা এদেশ থেকে স্বৈরাচারকেও এখনও হটানো সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন তিনি।

দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বে পড়ে সাধারণ মানুষ ও শিল্পী সমাজের ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শহিদুল আলম।

নিজের পেশাগত ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১১টি জায়গায় আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহণে এখন যে ছবি মেলা চলছে, সেক্ষেত্রেও বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, কারণ পরিকল্পনা মাফিক কোনও কাজ করা যাচ্ছে না।

শহিদুল আলম বলেন, “কেউ স্বপ্ন দেখছেন না। শিল্পীরাও দুরের কথা না ভেবে আজ কিভাবে বাঁচা যায়, সেটি ভাবছেন।”

তার মতে, জনগণ আসলে কোনো দলের সঙ্গেই নেই। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলেই মনে করেন তিনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিল্পীসহ সব জনগণের আন্দোলন গড়ে তুলে রাজপথে নামা দরকার বলেই মনে করেন শহিদুল আলম। সূত্র: বিবিসি