ঘূর্ণিঝড় আম্পান : বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কলকাতার বিমানবন্দর

SHARE

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ৬ ঘণ্টার তাণ্ডব ও প্রবল বৃষ্টিপাতে কলকাতা বিমানবন্দর ডুবে গেছে ও বিমানবন্দরটির বহু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত ধ্বংসের একটি ধারা রেখে গেছে। খবর এনডিটিভির।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কলকাতাসহ রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
কলকাতা বিমানবন্দরের অন্তত একটি টারমাক, কয়েকটি রানওয়ে ও হ্যাঙ্গার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিমানবন্দরের একটি অংশে কয়েকটি হ্যাঙ্গারের ছাদ ধসে পড়েছে, গণমাধ্যমে আসা ছবিতে এমনটি দেখা গেছে।
একটি উড়োজাহাজকে হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অব্যবহৃত দুটি হ্যাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দরটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ২৫ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। তখন থেকে এ বিমানবন্দরে যাত্রী চলাচল বন্ধ আছে। শুধু মালবাহী বিমান ও আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু ফ্লাইট চলাচল করছিল।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে আম্পান বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল হয়ে স্থলে উঠে আসতে শুরু করে। এর পর থেকে শুরু হওয়া তীব্র ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিতে গাছপালা উপড়ে পড়ে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কলকাতা ও বহু এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। ৯৯.৯৯ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পুরো পরিস্থিতির রিপোর্ট পেতে ৩-৪ দিন লাগবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আম্পান মোকাবেলায় প্রাথমিক বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনি স্তম্ভিত, স্বজন হারানোর বেদনা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মমতা।