বিশ্বব্যাপী কমেছে খাদ্যের দাম : এফএও

SHARE

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, মে মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ০.৮ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি জাতীয় পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৬ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে সিনহুয়া জানায়, খাদ্যমূল্য সূচকের সবচেয়ে বড় উপাদান—শস্য ও খাদ্যশস্যের দাম মে মাসে ১.৮ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভালো ভুট্টার ফলন এবং বৈশ্বিকভাবে গমের চাহিদা কমেছে।

তবে ইন্দিকা চালের চাহিদা ও মার্কিন ডলারের মূল্য পতনের কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও সামগ্রিক সূচকের ওপর তা প্রভাব ফেলেনি।

মে মাসে মাংসের দাম বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। গরু, খাসি ও শূকরের মাংসের চাহিদা বাড়ায় এই প্রবণতা দেখা গেছে।
বিশেষ করে জার্মানিতে পা ও মুখের রোগের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দেশটির বাজারে চাহিদা বাড়লে শূকরের মাংসের দাম বেড়ে যায়। তবে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের শঙ্কায় মুরগির মাংসের চাহিদা কমেছে।

এদিকে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। এশিয়ার চাহিদার কারণে মাখনের দাম রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে, ফলে পনির ও গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামে।

উদ্ভিজ্জ তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যদিও এটি এখনো গত বছরের তুলনায় ১৯.১ শতাংশ বেশি। পাম, রেপসিড, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমে গেছে—এর পেছনে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এফএও।

এদিকে খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকায় চিনির দাম কমেছে ২.৬ শতাংশ। সূত্র : ইউএনবি