ছেলের কফিনের পাশে অশ্রুসিক্ত খালেদা

SHARE

kokoooপ্রায় সাত বছর পরে ছেলে ফিরেছেন কফিনে করে মায়ের কাছে। সেই মায়ের অবস্থা কী করুণ হতে পারে সেটা ভুক্তভোগীরাই বুঝবেন। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বৃহত্তর একটি দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়াও একজন মা। তিনি আজ ছেলের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে। চোখে অশ্রুর বান। তাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা নেই কারো।

মঙ্গলবার দুপুরে আরাফাত রহমান কোকোর কফিনটি যখন গুলশানের কার্যালয়ে আনা হয় তখন এখানে এক করুণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বেগম খালেদা জিয়ার আত্মীয়-স্বজনরাই কেবল ভেতরে আসার সুযোগ পান। তবে কার্যালয়ের চার পাশে উপচপড়া ভিড় ছিল নেতাকর্মীদের।

পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো দেখার পর কোকোর মরদেহ বেলা পৌনে তিনটার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মা খালেদা জিয়া অশ্রুসজল নয়নে গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে ছেলেকে বিদায় জানান।

এর আগে কোকোর মরদেহবাহী মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বায়তুল মোকাররমে জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানোর পর আরাফাত রহমানকে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

আরাফাত রহমান গত শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরদিন কুয়ালালামপুরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।