করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত বসুন্ধরার হাসপাতাল

SHARE

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সর্ববৃহৎ বসুন্ধরার অস্থায়ী হাসপাতাল সেবা প্রদানের জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তরের অপেক্ষা। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) স্থাপিত হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই যেকোনো সময় বুঝে নিতে পারবে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কিছু কাজ হয়তো বাকি থাকলেও তা প্রায় শেষ। কিন্তু সেটাও সময়ের ব্যাপার মাত্র। এসব তথ্য দিয়েছেন আইসিসিবি’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন।

আজ আইসিসিবি’র এই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. ওসমান সরোয়ার।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বিশাল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এগিয়ে এসে এই সার্পোট দেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ। এখানে অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। দ্রুততম শেষ করার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখানে, অন্যান্য সুবিধা ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এই মাসের শেষেই এখানে চিকিৎসা সেবা শুরু করতে পারবো। এটা চালু হলে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা, আইসোলেশন ও অন্যান্য পরিচর্যার খুব ভালো একটি ব্যবস্থা হবে।

তিনি আরো বলেন, চিকিৎসক এবং নার্সদের যাতে কোনো ধরনের ঝুঁকি না থাকে সেই বিষয়টি মাথায় নিয়েই এখানে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকেই প্রটোকলও করা হয়েছে। কিভাবে হাসপাতালে যাবে, কিভাবে রোগী দেখবে। তাদের কিভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে এসব বিষয়ে।

আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করছি। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবাদানকরীরা যেন আক্রান্ত না হয় বা আক্রান্ত হলেও যেন তাদেরকে আলাদা করে রাখা যায়। পালাক্রমে রোস্টারের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে গুরুত্ব দিচ্ছি। এখানে প্রাথমিক পরিচর্যা কেন্দ্রের মত করেছি। অক্সিজেন সুবিধা থাকবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন তো আছেই, তাদের সাহায্য নেওয়া হবে। বসুন্ধরা হাসপাতাল আমাদের জন্য বিশাল সার্পোট। এখানে ২০১৩টি বেড নিয়ে অনেক সুবিধা থাকছে। এটি আমাদের একটি বড় সেন্টার। আমরা আশা করছি রোগীদের বড় একটি সার্পোট দিতে পারবো, যোগ করেন তিনি।

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. ওসমান সরোয়ার বলেন, ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। গত কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ ছিল। আশা করছি বাকি ১০ শতাংশ কাজ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিকল্পনা করা হচ্ছে কোথায় অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা যায়। এখানো এটা পরিকল্পনার মধ্যে আছে।

গতকাল হাসপাতাল হস্তান্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আগ্রহ প্রসঙ্গে জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, দেশের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে, তাদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) জন্য। তারা তো একটা পূর্বপরিকল্পনা করে সব কিছু বুঝে নেবে, কিন্তু তাদের মাঝে সেই আগ্রহ কেন যেন আমরা বিগত কিছুদিন যাবৎ দেখছি না। তারা বলছে, তাদের চিকিৎসক-নার্সের স্বল্পতা আছে। কিন্তু এটা তো আপৎকালীন হাসপাতাল, জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য। এ সময় তো প্রয়োজনে কমসংখ্যক চিকিৎসক-নার্স নিয়েও শুরু করা যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে চিকিৎসক-নার্সদের এখানে নিয়েও আসা যায়।