কিট হস্তান্তর করল গণস্বাস্থ্য,

SHARE

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ কিট হস্তান্তর করা হয়। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট সরকারের কাছে হস্তান্তরের কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান।

কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে সিডিসি কনফার্ম করেছিল আসবে, একমাত্র তারাই এসেছে। সিডিসিকেই আমরা দিয়ে দেব। বাকিদেরকে আমরা কালকে সরকারিভাবে প্রত্যেকের অফিসে পৌঁছে দেব। আমাদের দুঃখ, আপনাদের সামনে হস্তান্তর করতে পারছি না।

ডা. জাফরুল্লাহ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) আমাকে জানিয়েছেন, আজকে তাঁরা আসতে পারবেন না। জানি না, আজকে তাঁরা কেন আসতে পারলেন না। মন্ত্রীকেও (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আমরা তিন দিন আগে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। মন্ত্রী এখন অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। হতেই পারে। কারণে-অকারণে অনেক ব্যস্ত আছেন, লেনদেনের ব্যাপারও হয়তো আছে।

ডা. জাফরউল্লাহ আরো বলেন, আমরা আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটোরিকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম। তাঁরা অনুমতি পাননি বলে আসতে পারবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমএসইউ) চেয়ারম্যান ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ, তাই আসতে পারলেন না।

শুরুতেই অনুষ্ঠানস্থলে প্রদর্শিত মুক্তিযুদ্ধে নিয়াজীর আত্মসমর্পণের ছবিকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এটি হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক ছবি যা সাক্ষ্য দেয় আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। শত্রুকে পর্যুদস্ত করেছিলাম। তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। ঠিক একইভাবে আমরা আজ এক মহাশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের পদক্ষেপ এগিয়ে যাচ্ছে। এই শত্রুকে দেখা যায়নি চোখে। কিন্তু এটি সারা পৃথিবীর অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য- সবকিছুকে পর্যুদস্ত করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র বিজন কুমার শীল তাঁর চারজন সহকারীকে নিয়ে একটি সরল পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।

ডা. জাফর উল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদেরকে সাহস যুগিয়েছে। আমাদেরকে উদ্ভাবনী শক্তি যুগিয়েছে। যেমন মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই আমরা স্থাপন করেছিলাম বাংলাদেশ হাসপাতাল। ৪৮০ শয্যার সেই হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন মাত্র চারজন। মাত্র চার সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে আমাদের অনেক নারী সেবিকার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একইভাবে এবারের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ী হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।