বিজিবি প্রধানকে কামরুলের ‘স্যালুট’

SHARE

kamrul bgbবর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন এর জন্য তাকে ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিজিবি প্রধানকে আমি স্যালুট জানাই। তার বক্তব্যের সমালোচনা করছে কিছু তথাকথিত আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী। এরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সুরে কথা বলেন। এসব বুদ্ধিজীবীই বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।” এছাড়া পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের বক্তব্যেরও প্রশংসা করেন কামরুল।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় কামরুল এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘দেশের ও জনগণের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার প্রতিহিংসার রাজনীতি: সরকারের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এনামুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

কামরুল বলেন, “দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্প্রতি তিন বাহিনীর প্রধান যে বক্তব্য  দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময় উপযোগী ও প্রশংসনীয়। আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিএনপি আন্দোলনের নাম মুখেই নিতে পারবে না। বিএনপির নেতারা পালিয়েও রক্ষা পাবে না।”

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “তথকাথিত বুদ্ধিজীবীদের খোরাক জোগাচ্ছে বিএনপি। এই বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবীরাই বিএনপিকে সমর্থন দেবার মাধ্যমে দেশের বড় ক্ষতি করছে।”

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই নির্বাচন সুন্দর হয়নি। বিএনপি এলে নির্বাচন সুন্দর হতো। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো। এমনকি নির্বাচনের ফল তাদের পক্ষেও যেতে পারত। তখন যখন নির্বাচনে আসেননি এখন তাদের ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ”

কামরুল বলেন, “তাবলিগ জামাতের দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের সুর নরম হবে না। কারণ হেফাজতের মতো পরিকল্পনা নিয়ে খালেদা জিয়া এখনো ওঁৎ পেতে বসে আছেন।”

তিনি বলেন, “১০ দিন পরে আন্দোলন করার জন্য বিএনপির কাউকে মাঠে পাওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করা দরকার তাই করবে। পালিয়েও পার পাবেন না বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়া মনে করছেন বিদেশি বন্ধুরা তাকে সাহায্য করবেন। আপনাদের মিথ্যচারের চরিত্র তারা জেনে গেছে। কেউ আপনাদের সাহায্য করবে না।”

চলমান পরিস্থিতিকে বিএনপির সঙ্গে যুদ্ধ উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, “এ পরিস্থিতির পরিকল্পনা ও টাকা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল। আর কাজ করছে বাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে আমাদের একটা যুদ্ধ।”

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, “কারো হাতে পেট্রোলবোমা দেখলে বিজিবি সদস্যরা অবশ্যই অস্ত্র তুলে নেবে। কারণ একজনের পেট্রোলবোমায় হয়তো পাঁচজনের জীবন চলে যাবে। তাই তাকে দমন করাটাই শ্রেয়।” শুক্রবার রংপুরে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তাদের এই বক্তব্যকে অনেকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে এর সমালোচনা করেন।