করোনায় বড় মন্দার ঘা ফ্রান্সে, ১৯৪৫-এর পর এমন দুঃসময় আর আসেনি

SHARE

১৯৪৫ সালের পর এতোটা খারাপ সময় আর আসেনি ফ্রান্সবাসীর জীবনে। এক দুঃসময় যেন টেনে নিয়ে এলো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটি ক্রমেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে।

দেশটিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ কমে গেছে। বাণিজ্যে স্থবিরতার কারণে দেশটি এমন পরিস্থিতির কবলে পড়ল। আজ ব্যাংক অব ফ্রান্স এসব তথ্য জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৯ সালে শেষ তিন মাসে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ০.১ শতাংশ এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের পুরোটাই ছিল নেতিবাচক। ফলে বলাই যায়, দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়ে গেছে।

ফ্রান্সের কেন্দ্রিয় ব্যাংকটির দেওয়া তথ্য মতে, গত মার্চের শেষ দুই সপ্তাহ করোনাভাইরাসের দাপটে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম ৩২ শতাংশ কমেছে। এর আগে ১৯৬৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-মে) এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল ফ্রান্স। ওই বছরের মে মাসে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হলে অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে সে বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৩ শতাংশ হ্রাস পায়। যদিও বর্তমান সময়ে তুলনায় সেটা কম।

তবে করোনাভাইরাসে কারণে প্রতি দুই সপ্তাহের লকডাউনে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশ হারে কমছে। এই পরিস্থিতি কতো দূর যেতে পার সেটা এখনই খুব সহজে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১৭ মার্চ ফ্রান্সে শুরু হওয়া লকডাউন আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জারি থাকবে। তবে ভাইরাসের প্রদুর্ভাব থাকলে সেটা আরো দীর্ঘ হতে পারে। সবাই কর্মক্ষেত্র ছেড়ে যার যার ঘরে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত, রেস্টুরেন্ট এবং বাড়িওয়ালারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি মুখে পড়েছেন।