করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৬৪ জেলায় কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট

SHARE

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজও করছে সোসাইটি।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল, মসজিদ, ধর্মীয় উপসানালয়, কাঁচাবাজারসহ ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি প্রবণ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ও মাস্ক বিতরণ এবং প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে এক প্রেস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এ ছাড়াও দেশের ৬৪ জেলার ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের মাধ্যমেও করোভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তারা।

গতকাল ২৯ মার্চ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

রেড ক্রিসেন্টের জেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, সারাদেশের ৬৪ জেলার ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের সবকয়টিতে তারা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কক্সবাজার জেলায় চলমান পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের কমিউনিকেশন সেকশন থেকে থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে তারা প্রয়োজনীয় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবকয়টি ক্যাম্পে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য স্টাফ, কমিউনিটি হেলথ্ ফ্যাসিলিটিটর, হেলথ্ মোবিলাইজার, বিভিন্ন প্রোগ্রামের ফোকাল পয়েন্ট, রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এসব প্রশিক্ষিতরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রত্যেকের মাঝে কারোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এছাড়াও ওয়াশ কার্যক্রমের আওতায় ক্যাম্পে বসবাসরতদেরকে নিয়মিতভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হ্যান্ড ওয়াশিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।