ট্রাম্প সরকার ঘরে ঘরে চেক তুলে দেবে

SHARE

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষক দল জানায়, এই মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে—এমনই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশটি। এই ভাইরাস এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত মানুষের সংখ্যাও শতের কোঠা পার করেছে।

করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এক লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ হাজার কোটি ডলার নাগরিকদের সরাসরি অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। এ বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে হোয়াইট হাউস। কী পরিমাণ অর্থের চেক একজন পাবেন, কারা অগ্রাধিকার পাবেন, এসব বিষয়েও আলোচনা চলছে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন বলেছেন, করোনভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক সংকট রোধ করার লক্ষ্যে এই প্রণোদনা তহবিলের অংশ হিসেবে মার্কিন নাগরিকদের সরাসরি অর্থ প্রেরণকে সমর্থন করছেন তিনি। মানচিন আশা করছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই চেক প্রদান শুরু করা সম্ভব হবে।

মানচিন বলেন, ‘নাগরিকদের এখন নগদ প্রয়োজন এবং প্রেসিডেন্টও নগদ দিতে চান এবং আমি আশা করছি, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হবে।’

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর এই ভাইরাস দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে করোনার থাবায় নিউইয়র্ক, নিউজার্সিসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজসহ ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ-বার। আক্রান্ত শহরগুলোয় স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ। কাজ হারানোর ভয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।

গত রোববার মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস মার্কিন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে তারা ব্যয় হ্রাস, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ও কোয়ারেন্টিনকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। তারা মনে করছে, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতি ৫ শতাংশ সংকুচিত হবে। যেখানে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে শূন্য শতাংশ। আর পুরো বছরের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ২ শতাংশ।