দ.কোরিয়ায় রহস্যময় ধর্মীয় গোষ্ঠীর নারীকে নিয়ে তোলপাড়

SHARE

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছে চীনসহ পুরো বিশ্ব। চীনের বাইরে যে কয়টি দেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়েছে তাদের অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বর্ণিত রহস্যময় একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী করোনাভাইরাস আক্রান্তের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর এক নারীকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এই নারীর কারণে শতাধিক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির সরকার এই গোষ্ঠীকে ‘বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে এমনটাই বলা হয়েছে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩ জনই শিনচাঁজি সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত। এই সম্প্রদায়টি ‘চার্চ অফ জেসাস, সাক্ষ্যের মন্দিরের মন্দির’ নামেও পরিচিত।

এটি খ্রিস্টধর্মের একটি শাখা গোষ্ঠী। ১৯৮৪ সালে এমন এক ব্যক্তি গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যিনি নিজেকে যিশুখ্রিস্ট প্রেরিত একজন ভাববাদী বলে দাবি করেছিলেন। কথিত আছে যে, বিশ্বজুড়ে গোষ্ঠীটির ১২০,০০০ এরও বেশি অনুসারী রয়েছে।

এই গোষ্ঠীর অনুগামীরা বিশ্বাস করে যে, ধর্মটি খ্রিস্টধর্মের একমাত্র সত্য সংস্করণ। শাস্ত্র অনুসারে শেষ বিচারের দিনে তারাই কেবল একমাত্র পরিত্রাণ লাভ করবে।

ওই সম্প্রদায়ের অনুসারীদের আত্মীয়রা মিডিয়ার খবরে দাবি করেছে যে, পরিবারের সদস্যদের সাথে অনুসারীদেরকে যোগাযোগ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

এক নারীর মাধ্যমে শিনচাঁজি সম্প্রদায়ের মধ্যে করোনাভাইরাস (সিওভিআইডি -১৯ নামে পরিচিত) ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে ‘পেসেন্ট জিরো’ বলা হচ্ছে। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনিই প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তার মাধ্যমেই শতাধিক ভাইরাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি ১১৬ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ওই ব্যক্তিদের পৃথকীকরণের (কোয়ারেন্টাইন)-এর জন্য বলা হয়েছে।

বিশ্বের করোনভাইরাস সংক্রমণের দিকে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৯০ সহস্রাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

সূত্র : দ্য টাইম