স্রাবস্তি দত্ত তিন্নিকে ভীষণ ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন হিল্লোল আর একদিম মহা ধুমধামে ঘরে তুলে এনেছিলেন বধূ বেশে। তারিখটা ছিল ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। বেশ উড়নচণ্ডী তিন্নিকে বিয়ে করা নিয়ে তখন অনেকেই অনেক কিছু বলেছিল, তবে গায়ে মাখেননি হিল্লোল। সত্যি বলতে কি, বেশ কয়েকবছর বেশ সুখেই ছিলেন তাঁরা। ঘর আলো করে এসেছিল কন্যা ওয়ারিশা। সকলেই সেই জুটিকে দেখে বলতেন “বাহ”!
তবে সুখে বেশিদিন সইলো না। নাটক-সিনেমার মতই একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড় এসে যেন এলোমেলো করে দিল সব। সিনেমার নায়িকা হবার জন্য তিন্নির সংসার ত্যাগ, ইয়াবায় আসক্তি, ডিভোর্স ইত্যাদি সব মিলিয়ে কম ঝক্কি যায়নি নায়ক হিল্লোলের জীবনে।
কিন্তু না, তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং শক্তভাবে সামলে নিয়েছেন নিজেকে, আর আবার শুরু করেছে জীবন। এর এই পথ চলায় তাঁর সঙ্গী হয়েছে মডেল ও অভিনেত্রী নওশীন।
নওশীনেরও অবশ্য এটা প্রথম বিয়ে নয়। এর আগে নওশীন সংসার করেছেন পরিচালক ওয়াহিদ আনামের সঙ্গে। তাদের দুজনের একটি পুত্র সন্তানও আছে। নানান সংঘাতে তাঁরা ডিভোর্সের সিধান্ত নেন।
বেশ মজার নওশীন-হিল্লোলের প্রেম কাহিনী। রীতিমত সিনেম্যাটিক যাকে বলে। বিভিন্ন পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, হিল্লোল প্রায়ই একমাত্র কন্যা ওয়ারিশাকে শুটিং স্পটে নিয়ে যেতেন। এদিকে ছোট্ট ওয়ারিশা মা তিন্নির আদর থেকে বঞ্চিতই হয়ে আসছিল। তাই বুঝি ওয়ারিশা শুটিং স্পটে নওশীনকে দেখামাত্র ছুটে যেত। নওশীনও আর অবুঝ ওয়ারিশাকে ফেরাতে পারেননি, বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতার হাত। এভাবেই ওয়ারিশার জন্যই নওশীন-হিল্লোলের মন ক্রমশ কাছাকাছি হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ মার্চ সন্ধ্যায় হিল্লোল ও নওশীন বিয়ের কাজটিও সেরে ফেলেন। মিরপুরের ১০ নম্বর সেক্টরের নওশীনের বাবার বাড়ি ‘মালঞ্চ’তে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে শুধুমাত্র উভয় পরিবারের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেন তারা। মিডিয়ার সহকর্মী ও কাছের বন্ধুদেরকেও তারা বিয়ের বিষয়টি জানাননি।
শেষ ছবিগুলো একদম নতুন। এই তো কিছুদিন আগেই পার হয়ে গেলো তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। আর সেই উপলক্ষে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। ছবি গুলো দেখুন, দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে না যে অবশেষে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা জীবনে?
এভাবেই অমলিন থাকুক এই দম্পতির সুখ, হাসতে হাসতে কেটে যাক জীবন। তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
ছবি সূত্র- বিভিন্ন পত্রিকা, ফেসবুক পেজ