‘জার্মানির কিছু মানুষকে হত্যার কোনো বিকল্প নেই’

SHARE

জার্মানির হানায়ু শহরে গুলি করে ৯ জনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজনদের একজন উগ্র ডানপন্থী মতদর্শের অনুসারী বলে জানা গেছে।

৪৩ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন উগ্র ডানপন্থী সন্ত্রাসীকে আজ সকালে তার বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় পত্রিকা বিল্ড জানিয়েছে, ‘টবিয়াস আর’ নামের ওই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে একটি চিঠি ও ভিডিও রেখে গেছে। যেগুলোতে তার উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শের প্রকাশ দেখা গেছে।

বিল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার লেখা ২৪ পৃষ্ঠার চিঠিতে বলা হয়েছে, জার্মানিতে বসবাসকারী কিছু সংখ্যক মানুষকে হত্যার কোনো বিকল্প নেই। কেননা তাদেরকে জার্মানি থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথমদফায় ‘মিডনাইট’ নামের একটি শিশা বারে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ শুরু করা হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘কেউ একজন বন্দুক নিয়ে শিশা বারের ভেতরে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে।’ এতে তিনজন নিহত হয়।

এরপর হামলাকারী সেখান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। ওই বার থেকে মাত্র ২ মাইল দূরে ‘অ্যারেনা’ নামের আরেকটি শিশা বারে হামলা চালায়। এতে নিহত হয় আরো ৫ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে এই দুই হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জন হয়েছে। গুরুতর আহত আরো ৫ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।

দ্বিতীয় হামলার পরপরই হামলকারী নিজের বাড়িতে চলে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলে তাকে তার ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় আরো এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঠিক কতজন হামলাকারী এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

হিটলারের নাৎসিবাদের পতনের ৭৫ বছর পর ফের জার্মানিতে উগ্র ডানপন্থীদের সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির উদারবাদীরা।

সূত্র: দ্য সান