গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে হত্যা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গত কারণটা কি আপনারা অনেকেই জানেন। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি যাতে এটা কমিয়ে আনা যায়। তাই দুদেশের যা যা করণিয় সেটা আমরা করবো। ইতোমধ্যে পতাকা বৈঠক থেকে শুরু করে সব রকমের আলোচনা হচ্ছে। আমাদের বিজিবি বিএসএফের সঙ্গেও সবসময় কথাবার্তা হচ্ছে।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘মানবাধিকার সুরক্ষা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। যদিও তার যে রোগ, সেগুলো স্থায়ী রোগ। যেমন ডায়াবেটিক, আথ্রাইটিজ- এ সমস্ত রোগে তিনি ভুগছেন। কাজেই তাকে যে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না এটা সত্যি নয়।
নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচন হয়। কিন্তু আমাদের এ সাবকন্টিনেন্টের নির্বাচন এতো সুন্দর, এতো অহিংস নির্বাচন বোধ হয় আপনারা আর দেখেননি আমি মনে করি। কোনো ধরণের হত্যাকাণ্ড তো নাই-ই, মাথা ফাটাফাটিও খুব কম হয়েছে।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে সাংবাদিকের হামলার ঘটনাটা এটাও আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ভিকটিমের কথা অনুযায়ী এবং তার বর্ণনা অনুযায়ী একজনকে অলরেডি গ্রেপ্তার করেছি। সেই সঙ্গে আর দুই-একজন যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক নাছিমা বেগম, সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল প্রমুখ।