টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল নারীদের ক্ষমতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা তৃণমূল নারীদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে হবে। আর সে জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ‘কে এন এইচ জার্মানি’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এই আহ্বান জানান তিনি।
‘কে এন এইচ জার্মানি’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মারুফ রুমি মমতাজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংস্থাটির ন্যাশনাল কো-অডিনেটর মাটিলদা টিনা বৈদ্য, প্রগ্রাম কো-অডিনেটর মনিরুজ্জামান মুকুল ও ফাইনান্স কো-অডিনেটর চয়ন চক্রবর্তী।
বৈঠকে স্পিকার নারী ও শিশুদের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সরকারের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নারীরা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছে। শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্টসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে নারীদের আজ উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে। নগরের পাশাপাশি গ্রামের নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতা মারুফ রুমি মমতাজ বলেন, ‘কে এন এইচ জার্মানি’ সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে কাজ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সংস্থাটি ১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। এখনো শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলা, পথশিশু ও বাস্তুচ্যুত শিশুদের কারিগরী প্রশিক্ষণ, গর্ভবতী অবিবাহিত কিশোরী ও নারীর আশ্রয় ও পুনর্বাসন, দারিদ্র বিমোচন এবং শিশু অধিকার সুরক্ষায় স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে ১০টি জেলায় নানান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলছে।
এ ছাড়া হতদরিদ্র নারীদের সংগঠিত করা, নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ রয়েছে। তিনি ‘কে এন এইচ জার্মানী’র সঙ্গে সম্পৃক্ত সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও নারী প্রতিনিধিদের অধিকোর নিশ্চিত করার এই কাজে স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করেন।