ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ ৮ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরমধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পাঠানো নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকী ৬ জেলার নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় মাসের জন্য এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ওই আট জেলার বিভিন্ন প্রার্থীর করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালত যে আট জেলার নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তা হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে পৃথক রিট আবেদনের ভিত্তিতে এসব জেলায় আগেই নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাত জেলার নিয়োগপ্রার্থীদের পক্ষে করা রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এরইমধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালত এই নিয়োপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এ কারণে ওই নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে আপাতত কেউ চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না। আদালত এ বিষয়ে রুলও জারি করেছেন। বাকী ৫ জেলায় এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই ৫ জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ষাট শতাংশ মহিলা, বিশ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকী বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
সারা দেশে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৮ হাজার এক শ ৪৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে গতবছর ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ফল প্রকাশ করে। এই ফল বাতিল চেয়ে একের পর এক রিট আবেদন করা হচ্ছে। আর আদালত শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন।