বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক

SHARE

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে (বেইজমেন্ট-২) আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ৩টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, বিগ্রেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং ঢাকার দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে সিটি নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠকে দুই সিটি নির্বাচনের জন্য আটটি এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে দুই সিটির প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ জন সদস্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে ইসি। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ দুইজন আনসার সদস্য এবং ১০ জন অঙ্গীভূত আনসার মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের বাইরে টহলে থাকবেন পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।

সূত্র আরো জানায়, দুই সিটির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৫৪টি মোবাইল টিম ও ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যবের ৫৪টি মোবাইল টিম এবং ২৭ প্ল্যাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে।

অপরদিকে, দক্ষিণ সিটির ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ৭৫টি মোবাইল টিম ও ২৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যবের ৭৫টি মোবাইল টিম এবং ৩৮ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দুই দিন আগ থেকে ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা মোট পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগের দিন রাত থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করবে প্রত্যেক কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ইসি সূত্র জানায়, দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৬৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে কমিশনের। এসব ম্যাজিস্ট্রেটরা যেকোনো অপরাধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রযোজনে সাজা দেবেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৪ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৭৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পযন্ত মাঠে থাকবেন। তাঁরা নির্বাহী আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, বিজিবি মহাপরিচালক, ডিজিএফআই পরিচালকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি ও দুই রিটার্নিং কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।