খালেদা জিয়া-বিএনপি নিয়ে হাস্যরস মন্ত্রিসভায়

SHARE

cabinet12অমিত শাহ’র ফোনালাপ এবং কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতি মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পর বিএনপির পাল্টা বিবৃতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় মন্ত্রিসভায়। পাশাপাশি অনির্ধারিত আলোচনায় চলে খালেদা জিয়ার অতীত নিয়েও কাটাছেঁড়া।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় খালেদা জিয়ার ‘অবরুদ্ধ’ থাকার গুঞ্জন নিয়ে কথা ওঠে। এ সময় অমিত শাহ’র ফোনালাপ এবং মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের নামে ইস্যু করা ভুয়া বিবৃতি নিয়ে কয়েকজন সদস্য তীব্র সমালোচনা করেন।

খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকার গুঞ্জনের সময় ভারতের বিজেপি প্রধান অমিত শাহ’র সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে এমন বিবৃতি দেওয়া হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। অমিত শাহ বিষয়টিকে ‘ফেক নিউজ’ বললেও বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো দাবি করা হয় তার সঙ্গে কথা হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের নামে ইস্যু করা ভুয়া বিবৃতি ফাঁস হওয়ার পরেও বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতি দেওয়ার দাবি করে।

এই ঘটনার পর সোমবারের মন্ত্রিসভায় এ বিষয় নিয়ে সমালোচনায় অংশ নেন কয়েকজন মন্ত্রী। সমলোচনায় অংশ নেওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা বলেন, এ ধরণের মিথ্যাচার এটিই প্রথম না। বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচারের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর খালেদা জিয়ার জীবনাচরণ মিথ্যাচারে ভরপুর।

আলোচনার সময় মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য খালেদা জিয়ার অতীত ইতিহাস নিয়েও কাটাছেঁড়া করেন। ১৯৮৭ সালে খালেদা জিয়ার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা উঠে মন্ত্রিসভায়। এ সময় হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের কাছে জানতে চান, কত সালে খালেদা জিয়াকে আপনারা খুঁজে বের করেছিলেন। জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ওই সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ১৯৮৫ অথবা ১৯৮৭ সাল হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, সেটাও ভুলে গেছেন।

মন্ত্রিসভায় অবরোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এ ইঙ্গিত দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে মন্ত্রিসভার এক সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, অবরোধতো নেই। তাই আলোচনাও হয়নি।

নাম প্রকালে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার ওই সদস্য অবরোধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবরোধ হচ্ছে না। আর দূর পাল্লার যানবাহন চলাচলেও বিকল্প ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে কী পদ্ধতি নেওয়া হবে না বলতে চাননি ওই সদস্য। যানবাহন চলাচলে দলীয় কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা নেবে মাঠ পর্যায়ে এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।