দেশে হৃদরোগ, কিডনি, ইএনটি, বাতজ্বর, বার্ণ, চক্ষু, অর্থোপেডিক্সসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষায়িত হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউট থাকলেও ইন্টারনাল মেডিসিন বিষয়ক কোন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগাক্রান্ত মানুষকে যাতে একই ছাতার নিচে সব ধরণের রোগের চিকিৎসা প্রদান করা যায়, এজন্য দেশে দরকার একটি বিশেষায়িত ইন্টারন্যাল মেডিসিন ইন্সটিটিউট। এটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করাতে হবে না। তারা একই হাসপাতালে সব ধরণের চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
রবিবার ইন্টারনাল মেডিসিন ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত ধারণাপত্র পেশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সাবেক স্বরাষ্ট সচিব সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ।
‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস অব পেশেন্ট অব মাল্টি অর্গান ডিজিজেস’ শীর্ষক ধারণাপত্র পেশ করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সাবেক সহ-সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী। এতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশে ইন্টারনাল মেডিসিন ইন্সটিটিউট স্থাপন একটি চমৎকার ধারণা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণে বেশ আগ্রহী। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টির প্রজেক্ট প্রফাইল পেলে তিনি এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করবেন।